রেলওয়ের ডেপুটি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা গ্রেফতার করেছে না পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা রেল ভবনের ডেপুটি ডিরেক্টর (টিসি) মোঃ আনসার আলী (৩৭), পিতা-মোঃ শফিজ উদ্দিন শেখ, স্থায়ী ঠিকানাঃ সাং-পান্দেরিয়া, ডাকঘর-মোহাম্মদপুর, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-মাগুরা। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারী অফিস সহকারী, শিরিন আক্তার (৩১) পিতা-মোঃ নুরুল হোসেন খাঁন, সাং- মিস্ত্রীপাড়া, মন্দির রোড, ওয়ার্ড নং-১৫, থানা-সৈয়দপুর, জেলা-নীলফামারী।
শিরীন আক্তারের চাকরি স্থায়ীকরণ সহ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা, সৈয়দপুর সহ দেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাসে পর মাস অবাধে ধর্ষণ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে, রাত্রী অনুমানিক সময় ০৯:৩০ ঘটিকায় সময় শিরিন আক্তারের পৈত্রিক বসতবাড়ীতে আসে আনসার আলী এবং শিরীনের বাবা ও মাকে বলেন আমি শিরিনকে বিবাহ করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। শিরীনের বাবা-মা সরল মনের মানুষ হওয়াতে এসময় রাতে আসামী আনসার আলীকে তাদের গেষ্টরুমে থাকতে দেয়। এ রাত্রীতে অনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকার সময় আনসার আলী ওয়াস রুমে যাওয়ার বাহানা করে। অসৎ উদ্দেশ্যে শিরীন আক্তারের রুমের দরজা নক করে । শিরিন আক্তার ঘুম ঘুম চোখে দরজা খোলে আনসার আলী,এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, রুমে প্রবেশ করেই শিরীন আক্তারকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আসামি পরের দিন সকলের অগচরে শিরিনের পিত্রালয় থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে সমস্ত বিষয়গুলো অস্বীকার করে। বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করাহলে, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায় ,তাকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করে।রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবং ভুক্তভোগী নারী দিশেহারা হয়ে ০৩ মার্চ ২০২৫, নিজে বাদী হয়ে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০২০ এর ৯ (১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। (মামলা নং-০৩)
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ, মামলা করার পর থেকেই চাকরি চুতো করার সহও ভয় দেখাচ্ছে এ ছাড়া মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করার প্রস্তাব দিচ্ছে আনসার আলী , কিন্তূ শিরিন আক্তার, মীমাংসা করতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি সহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে।
আসামি প্রভাবশালী হওয়াতে , ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ।
আসামি আনসার আলী সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালী ও বিত্তবান হওয়াতে তার নামে একটি ধর্ষণ মামলা হওয়া সত্ত্বেও ১৩ দিন পার হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি । দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ও নারীর নিরাপত্তায় পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।