লালমনিরহাটের প্রতারক চক্রের গডফাদার নুরু মূর্তি ও ম্যাগনেটিক পিলার বিক্রির নামে হাতিয়ে নিল ৩ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লালমনিরহাট জেলার আদিত্যমারী উপজেলার, ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের, পশ্চিম ভেলাবাড়ি গ্রামের (কুমড়িরহাট বাজার সংলগ্ন) মৃত-মোকসেদুলের ছেলে নূর মোহাম্মদ নুরু (৭৫)। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সহচর ও আওয়ামী লীগের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে নূর মোহাম্মদ প্রতারক চক্রের গডফাদার নুরু নামে পরিচিত।
নুরু প্রতারক দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তার কাছে থাকা কুষ্টি পাথরের মূর্তি ও ১৮১৮ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ম্যাগনেট পাওয়ার সীমানা পিলার আছে বলে মানুষকে জানাই। সে আরো জানাই লালমনিরহাটের পাংঙ্গা রাজা পুত্রবধূ দেবী রাণী তাকে এগুলো বিক্রয়ের জন্য দিয়েছেন। নুরু জানাই, এই মূর্তি ও পিলার আমার কাছে সংরক্ষিত আছে, এখন আমিই মালিক। সে এই মূর্তি ও পিলার গুলোর দাম হাজার হাজার কোটি ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা বলে মানুষকে ধারণা দেই।
সে লোকজনকে জানাই আমার এই প্রোডাক্ট দুইটি আমেরিকার সাথে বিক্রয় চুক্তি হয়েছে। এবং ৭ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে আমেরিকা থেকে এসে আছে। এই টাকা গুলো আমেরিকায় এম্বাসি মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়াতে ৩ কোটি টাকার প্রয়োজন। এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এই টাকা নুরু ৫০ জনের নামে নামে ফাইল তৈরি করে দিবে। ১০/১৫/২০ হাজার কোটি টাকা করে দিতে চেয়ে ফাইল তৈরির খরচ হবে বলে প্রতারণা ফাঁদ তৈরি করে কৌশলে মানুষের নিকট থেকে ৩ (তিন) কোটি টাকার ন্যায় হাতিয়ে নেয়।
অনুসন্ধানী জানা যায়, নুরু প্রতারক এভাবে দীর্ঘ বছর ১৫ যাবত বিভিন্ন জেলার মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে, বাদ দেয় না নিজের আত্মীয়-স্বজন কেও। লোকজন যখন তার প্রতি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে অতিষ্ঠ হয়ে যায়, তখন সে টাকা দিবে বলে কৌশলে ঢাকার মহাখালী কাঁচা বাজারের, একতা আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ৩-৪ দিন রেখে লোকজনকে আবারো খরচ করিয়ে অফিসের কাজ শেষ হয়নি বলে আবারও টাকা হিতিয়ে নেয়। নুরু প্রতারক লোকজনকে বিদায়ের সময় আরো কৌশলে জানাই প্রত্যেকের আমেরিকায় গাড়ি, বাড়ি ও সিটিজেনশীপ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো কিছু কাজ বাকি থাকায় এবার আর হচ্ছে না, কাজ শেষ হলে আবার জানানো হবে।
এভাবেই বছরের পর বছর সে প্রতারণার ফাঁদ পেতে কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের কাছে হাতিয়ে নিচ্ছে। তার এ সকল প্রচারণা বন্ধ করে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।