রাজশাহীতে বালুরঘাট টেন্ডারের দরপত্র দাখিল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১
রাজশাহীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বালিঘাট টেন্ডারের দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর (ডিসি) কার্যালয়ের দোতলায় এসএ শাখার সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত, হয় পরে অফিসের সামনের সড়কের দিকে এসে ছড়িয়ে পড়ে।
এই সংঘর্ষে রায়হান নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। এসময় তাকে রামকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ করেন।
রায়হান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম সরকারের সঙ্গে দরপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল দুপুর ১টা। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তারা দরপত্র জমা দিতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর বালিঘাট গুলোর টেন্ডারের দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত । টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল ডিসি অফিসের দোতলায় এসএ শাখার সামনে। দুপুর ১টার পরে শামীম সরকার দরপত্র দাখিল করতে গেলে পুলিশসহ আগেথেকে যারা দরপত্র দাখিল করেন তারা বাধা দেন। এর ফলে শামীম সরকার দরপত্র জমা দিতে না পেরে তার লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর গুড়িপাড়া এলাকা থেকে দরপত্র দাখিল করতে আসেন শহীদ হাজি, জহুরুল, নাজির, টিয়া, নুরু ও ফারুকসহ কয়েকজন।
তারা নির্ধারিত সময়ের পরেও জোর করে দরপত্র বাক্সে ফেলেছেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা শামীম সরকারের পক্ষের লোকজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদেরও এখন দরপত্র দাখিল করতে দিতে হবে বলে দাবি তোলেন। তখন গুড়িপাড়ার ওই লোকজনের সঙ্গে শামীমের লোকজনের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসএ শাখার সামনেই শামীমের সঙ্গে আসা রায়হানকে পেটানো হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ডিসি অফিসের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনা দেখেছি। তবে কী কারণে সেটা ঘটেছে তা বলতে পারব না।’ নির্ধারিত সময়ের পরেও দরপত্র বাক্সে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ রকম তো আমাকে কেউ বলেনি।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আহত রায়হান হাসপাতাল থেকে এসে থানায় অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।