রাজশাহীর মহানগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকায় ডিভোর্সি নারীর ঘরে বিবস্ত্র পুলিশ সদস্য আটক
রাজশাহী মহানগরীতে এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ সদস্যকে আটক করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহানগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা দুজনে পুলিশ হেফাজতে মতিহার থানায় রয়েছেন।
আরএমপির মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই পুলিশ সদস্যের নাম টি এম নাছির উদ্দিন। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের সয়াগোবিন্দ নয়ন মোড় ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। কনস্টেবল নাছির রাজশাহী পুলিশ লাইনে ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। নাছিরের বিপি নম্বর ৯২১২১৬০৯৭৫।
তাদের এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। তবে ওই নারী ও পুলিশ সদস্যের দাবি- তারা কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তবে তাদের বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে ওই নারী ডিভোর্সী। তারা রাতে মহানগরীর বাদুরতলা এলাকার মায়ের বাসায় গিয়েছিলেন। এই বাড়িতে তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা।
এ সময় নাছির ও ওই নারী জানান, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তবে তাদের বিয়ের কাগজপত্র নেই। তারা কালেমা পড়ে মৌলভীর কাছে বিয়ে করেছেন। এ বিয়ের দু’জন সাক্ষী রয়েছে। এছাড়া তারা যে এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন সেখানকার মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিরা বিয়ের বিষয়টি জানে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে এ বিষয়ে আরএমপির মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু শুধু কালেমা হয়েছে, কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি। এ কারণে বিয়ের কাগজপত্রও তারা দেখাতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে অবশ্যই প্রমাণ দেখাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যের পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।