পবায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিনধি:
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর শুক্রবার (৩০ মে) ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বেলা ২টায় নওহাটা হাট এলাকায় আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মনির হোসেন। মাহফিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তার আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, “শহীদ জিয়া ছিলেন এক সাহসী ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, যিনি দেশের স্বার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক সভাপতি মো. শেখ মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর সরকার জেড, সদস্য মো. নাজিম উদ্দিন নজির, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. আবু সুফিয়ান, বিএনপি সদস্য মো. এমদাদুল হক ও শরিফুল ইসলাম শরিফ, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আতোর আলী, সাইফুল, হান্নান, বেলাল, মনা, নশিম, রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য মো. ইখতেখারুল ইসলাম জনি, পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. সুজন মোল্লা ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সোহেল রহমান, সাবেক আহ্বায়ক মো. সাকিব রহমান এবং সদস্য সচিব ফাইছাল কবির সজল।
দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মনির হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ার্ডের সিনিয়র সহসভাপতি মো. খোরশেদ আলম মনা।
দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় মাওলানা আলামিন আলমগীর। পরে উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
বক্তারা বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই সংকটময় অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শহীদ জিয়ার আদর্শকে অনুসরণ করার বিকল্প নেই।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক মানবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের মতে, এটি একটি সফল রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।