রাশিয়া ইউক্রেন, তুরস্কের ইস্তানবুলে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু
তুরস্কের ইস্তানবুলে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করল রাশিয়া ইউক্রেন । ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধরে যুদ্ধ চালানোর পর এই প্রথম ২ দেশ শান্তির লক্ষ্যে পরষ্পরের মুখোমুখি হয়েছে। রাশিয়ার তরফে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কি ও ইউক্রেনের হয়ে সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। কোনও রকম মধ্যস্ততাকারী ছাড়াই আলোচনা চলছে।
বৃহস্পতিবারই দুই দেশের প্রতিনিধিরা তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদানের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপরই শুক্রবার যুদ্ধের ১১৭৭ তম দিনে ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে শুরু হয় আলোচনা। ইউক্রেনের প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নিজে তুরস্কে রয়েছেন। তবে তিনি আলোচনায় যোগ দেননি। সরাসরি পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু পুতিন নিজে না আসায় জেলেনস্কিও নিজেকে আলোচনা থেকে দূরে রেখেছেন। অন্যদিকে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও আজ তুরস্কে এসে পৌঁছেছেন। তবে তিনি আলোচনায় যোগ দেবেন না। জানা গেছে, দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন রুবিও।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার কয়েক দিনের মধ্যেই অপ্রস্তুত ইউক্রেনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে রাশিয়া। সীমিত ক্ষমতায় জবাব দিতে থাকে ইউক্রেন। ইতিমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা শক্তি নিয়ে প্রত্যাঘাত করে ইউক্রেন। ফলে ৩ বছর কেটে গেলেও ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারেনি পুতিনের বাহিনী। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে আমেরিকা। এতে চাপে পড়ে যায় ইউক্রেন। ট্রাম্পও যুদ্ধ বন্ধের জন্য দুই দেশের উপর চাপ দিতে থাকেন। অবশেষে শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় রাজি হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। তবে আলোচনাটা শুরু হয়েছে এটাই ইতিবাচক।