জনগণের আস্থা একমাত্র ধানের শীষে : মিলন
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ছিল একটাই দল, ভোটারও ছিলেন একজন—তিনি হচ্ছেন ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা,”—এই মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
শুক্রবার (২৭ জুন) পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শীতলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “খুনি হাসিনার ইশারায় জাতীয় সংসদ থেকে স্থানীয় সরকার পর্যন্ত সব নির্বাচনে একতরফা ভোট হতো। তিনি যাকে মনোনয়ন দিতেন, তিনিই নির্বাচিত হতেন। এভাবে তিনি বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই অবৈধ সরকারের আমলে হাজার হাজার গায়েবি মামলা হয়েছে, লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে, ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং শত শত নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। কেউ কেউ মামলা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে রাত কাটিয়েছেন মাঠে, পুকুরপাড়ে কিংবা টংঘরে। কেউ কেউ চরে গিয়ে ঘুমিয়েছেন।”
তিনি দাবি করেন, এখন আওয়ামী লীগের দোসররা বিএনপিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে, আর কিছু নেতা তাদের জায়গা করে দিচ্ছেন—যা বিএনপি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মেনে নেবেন না। এমন নেতাদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে মিলন বলেন, “এই নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। কারণ বিএনপি এর আগেও চারবার ক্ষমতায় ছিল এবং জনগণের হৃদয়ে রয়েছে। জনগণের আস্থা একমাত্র ধানের শীষে—এই প্রতীকেই তারা ভোট দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি কোনো সহিংসতা বা নির্যাতন করে না, বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপি নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পরও পতিত সরকারের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয়, দোষীদের চিরকাল রক্ষা করা হবে। বিএনপি মব জাস্টিসে বিশ্বাস করে না এবং আগামীতেও তা করবে না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক কনক। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব নওশাদ আলী এবং পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম মাস্টার, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, ধরুইল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন কাজিম, হরিয়ান ইউনিয়নের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, দর্শনপাড়া, হুজুরীপাড়া ও পারিলা ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং নিহত ও আহত নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।