লালপুরে বৈধ বালুমহালে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে সরকার অনুমোদিত বৈধ বালুমহাল ঘিরে চাঁদাবাজি, হয়রানি এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্স।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর পদ্মা নদীর পাড়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার মেহফুজ হক সোহাগ বলেন, “আমরা দিয়ার বাহাদুর মৌজায় প্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সরকারিভাবে বালুমহাল ইজারা নিই। কিন্তু শুরু থেকেই আমাদের উপর প্রতিদিন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং তার ভাই মেহেদী হাসান ও তাদের অনুসারীরা এই চাঁদার জন্য ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছেন। চাঁদা না দিলে নৌপথে চলাচলে বাধা, শ্রমিকদের উপর হামলা, নৌযান আটকানো এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে।
মেহফুজ হক সোহাগ অভিযোগ করেন, “মেহেদী হাসান তার লোকজন দিয়ে একটি মিথ্যা ‘অস্ত্র উদ্ধার নাটক’ সাজিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর, মাঝি ও শ্রমিকদের হাতে জোর করে অস্ত্র তুলে দিয়ে ছবি তোলে এবং পরে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পাঁয়তারা করে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।”
তিনি আরও বলেন, “এইসব অনিয়মের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত নীরব। বিশেষ করে ঈশ্বরদী থানার নতুন ওসি আ.স.ম. আব্দুন নুর যোগদানের পর থেকে মেহেদী চক্র যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।”
এ বিষয়ে জানতে জাকারিয়া পিন্টুকে ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ, আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, এগুলো ষড়যন্ত্র।”
তবে ঈশ্বরদী থানার ওসি আ.স.ম. আব্দুন নুর–কে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে মোল্লা ট্রেডার্সের অন্য অংশীদাররাও উপস্থিত ছিলেন এবং তারা দাবি জানান— অবিলম্বে এই চাঁদাবাজ চক্র ও মিথ্যা মামলা কারীদের বিরুদ্ধে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক এবং সরকারি ইজারাদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।