রাজশাহীতে সৌদির সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন
রাজশাহীর পুঠিয়ার কৃষ্ণপুর গ্রাম ও গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার চাতড়া বাটক্যাপাড়া বেশ কিছু পরিবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করেছে।
শুক্রবার সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে পুঠিয়ার উপজেলার কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন ১০ জন মুসল্লি। অপরদিকে সকাল ৯টায় গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার চাতড়া বাটক্যাপাড়া এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল-উল-আজহা নামাজ আদায় করেছে ১৫টি পরিবার।
ঈদের নামাজ আদায় করা কৃষ্ণপুর গ্রামের একজন মুসল্লি জানান, নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিত ছিল মোট ১০ জন । পুরুষ মুসলি ৮জন এবং মহিলাদের উপস্থিত ২ জন। আমরা প্রতি বছরে এখানে ঈদ জামাতে আদায় করি। আমি পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মের ঈদের জামাত আদায় করতাম । তবে এখন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের সালাত আদায় করতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
ঈদের নামাজ শেষে মো: রহিম গাজী বলেন, মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে তাই আমাদের এই স্থানে ঈদ হচ্ছে আসলে ব্যাপারটা তা না। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য উঠেনা। চাঁদ উঠে সারা পৃথিবীর জন্য। যেদিন চাঁদ উঠে সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়। পৃথিবীর পরিসীমা যেহেতু অনেক বড় তাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা চাঁদ দেখতে পাই না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র সে কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয় একথা বলা হয়। আমরা ঈদ পালন করে আসছি ৮ থেকে ১০ বছর যাবত। আগে মুসলি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় তিন-চার বছর থেকে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
অপরদিকে, গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার চাতড়া বাটক্যাপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং পরবর্তীতে কোরবানি দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাতড়া বাটক্যাপাড়া গ্রামের মুসলিম পুকুরের পাশের খোলা জায়গায় প্রায় ১৫টি মুসলিম পরিবারের ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে ঈদুল-উল-আজহার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান (এরফান আলী)। নামাজ শেষে সবাই একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুরো এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সরকার নির্ধারিত তারিখের একদিন আগেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমান ঈদ উদযাপন করে থাকেন। কাঁকনহাটের এই উদ্যোগও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।