শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে নিয়ে কটুক্তি ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি এবং রাজধানীর পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পরিকল্পিত বোমা হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একই সঙ্গে ‘জুলাই-আগস্ট-২৪ গণঅভ্যুত্থানে’ নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিলও করা হয়।
রবিবার বিকেল ৫টায় নগরীর বাটার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি সৈকত হাজী এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর এবং বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু বলেন, “যে দলের প্রতিষ্ঠাতা একজন বীরউত্তম, মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা এবং স্বাধীনতার ঘোষক, সেই শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য জাতি কোনোভাবেই মেনে নেবে না। একটি রাজনৈতিক ভিত্তিহীন দলের কিছু অপেশাদার নেতারাই এসব কটুক্তির মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃত করছে।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ জিয়ার পরিবারের প্রতি অসম্মান করে বিএনপিকে উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। বিএনপি রাজপথে থেকেই এ অপচেষ্টার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।”
সমাবেশে বিএনপি নেতা ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট বলেন, “যারা রাজনীতি বোঝে না, জনগণের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তারা আজ বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। সরকারপ্রশাসনের আশীর্বাদ নিয়ে গজিয়ে ওঠা এসব দলের মুখোশ আমরা জনগণের সামনে উন্মোচন করবো।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদ ইকবাল হোসেন দিলদার, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুর্তজা ফামিম, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হক টফি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান হিমেল, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম সানি, মেহেদী হাসান ডলার, সদস্য সচিব মৃদুলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, সাতদিন বয়স হয়নি একটি দলের। যারা রাজনীতি সম্পর্কে কিছু জানেনা। এখনো লেখাপাড়া শেষ করতে পারেনি, ঐ দলের নেতারা বাংলার রাখাল রাজা, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ বেগম জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য প্রদান করছে। বিএনপি এটা কখনো মেনে নেবেনা। এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে আগামীতে এনসিপির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বক্তারা বলেন, রাজনীতি অত সহজ নয়। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা জেল, জুলুমের স্বীকার হয়েছেন। এখনো হচ্ছেন। সেইসাথে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পতিত সরকার খুন ও গুম করেছে। লক্ষ লক্ষ মামলা হয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। আর যে দলের প্রতিষ্ঠাতা একজন বীরউত্তম এবং স্বাধীনতার ঘোষক ও সম্মুখ মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে নিয়ে এমন মন্তব্য ও এমন ন্যাক্কারজনক কাজ বিএনপি কখনই মানবেনা বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বাটার মোড় থেকে শুরু হয়ে সোনাদীঘি মোড়, সাহেব বাজার, আলুপট্টি প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলে রাজপথ মুখরিত হয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে। পুরো নগর জুড়ে প্রতিবাদের স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেয় বিএনপির এ বিক্ষোভ কর্মসূচি।