গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ৪০ জন আহত ১৪৪ ধারা জারি
গোপালগঞ্জে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ভয়াবহ সংঘর্ষ, সহিংসতা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় সংঘর্ষে পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং গোপালগঞ্জ পৌর পার্কের সমাবেশস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১টা থেকে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে হঠাৎ একদল মুখোশধারী হামলাকারী সমাবেশস্থলে ঢুকে ভাঙচুর ও হামলা চালায়।
পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ ফিরে যাওয়ার সময় ফের গাড়ি বহরে হামলা হয়। এসময় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের নিরাপদে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সরিয়ে নেয়।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি বাপ্পী সাহা।
অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এ ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে, তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে, যেখানে তিনজন পুলিশ সদস্যও ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক ও যুগ্ম সচিব মুহম্মদ কামরুজ্জামান। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় কারা জড়িত এবং সংঘর্ষের মূল উসকানি কী, তা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী