রাজশাহীর ২২ নং ওয়ার্ডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের" জায়গা দখল করে রেস্টুরেন্ট আওয়ামী ক্যাডার সানির
নিজস্ব প্রতিনিধি:
রজশাহী নগরীর আলোচিত ও বিতর্কিত চরিত্র সানি কে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে তার ক্ষমতার উৎস, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সানি এক সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এমনকি সানির বাবা রাজশাহীর ২২ নং আওয়ামী লীগের সভাপতির পদপ্রার্থী ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে সানি গড়ে তুলেছেন বাড়ি, গাড়ি ও নানা সম্পদের পাহাড় এবং "পানি উন্নয়ন বোর্ডের" জায়গা দখল করে করেছে ব্লেসিং রেস্টুরেন্ট। যেখানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে চলে আওয়ামী লীগের গুপ্ত মিটিং ও ছাত্রলীগের আনাগোনা। তাহলে কি রাজশাহীতে আবার আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে?এমনই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকা বাসি, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পূর্ব মুহূর্তে সানি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর তইদুর রহমান কিটু ও ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব এর ক্যাডার হিসেবে চিহ্নিত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান সানির ক্ষমতার দাপট ও অত্যাচারে আমরা বাড়িতে থাকতে পারতাম না। তার বাসা রাজশাহী আলুপট্টি,কুমার পাড়ায় । তবে এখন ও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, অথচ এত অভিযোগের পরও পুলিশ তাকে ধরছে না কেন?”
এলাকাবাসীর দাবি, সানি এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও প্রমাণ রয়েছে, যেগুলোতে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার সুস্পষ্ট আলামত রয়েছে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “যদি সানির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ থাকে, তাহলে তা তদন্তের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।”
অন্যদিকে, স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, সানি এর প্রভাব ও অর্থবলের কারণে তিনি পুলিশি গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলছেন।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের দাবি, সানি এর অতীত কর্মকাণ্ড ও সম্পদের উৎস তদন্ত করে তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
জনগণের প্রশ্ন—একজন ব্যক্তি রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে বছরের পর বছর যেভাবে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন, তা কিভাবে সম্ভব? প্রশাসন কি সত্যিই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে, নাকি ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কেউ কেউ আইনের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন?
এ বিষয়ে আরও তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে।
