খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন ডা. জাহিদ হোসেন
গত তিন দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একই পর্যায়ে আছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের ওপর নির্ভর করবে বিদেশে নেয়ার সিদ্ধান্ত।
দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, চীন ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের হাসপাতালের চিকিৎসকদের যৌথ আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এখানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে এবং অব্যাহত থাকবে। ডা. জোবায়দা রহমান দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয় করছেন। চিকিৎসকরা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি (খালেদা জিয়া) তা গ্রহণ করতে পারছেন।
হাসপাতালের সামনে এসে অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হচ্ছে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দোয়া করবেন। সবার দোয়ায় তিনি সুস্থ হবেন ইনশাআল্লাহ।
এর আগে এদিন বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসপাতালে ভর্তি বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার মতো শরীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে নেই। তবে তাকে বিদেশে নেয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা আপাতত ফ্লাই করার মতো নেই। তবে বিদেশে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া আছে। তিনি ফ্লাইয়ের জন্য প্রস্তুত হলে চিন্তা করা হবে বিদেশে নেয়া হবে কি না।’
মির্জা ফখরুল আরও জানান, গতকাল (শুক্রবার) মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। কী চিকিৎসা হবে সে বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে। তাকে বিদেশে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেই তার পরিবারের তাকে লন্ডনে নেয়ার পরিকল্পনা আছে। সেই লক্ষ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি এখন হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রয়েছেন ।
