ইসরায়েলি আগ্রাসন বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সোমবার (১৬ জুন) পার্লামেন্ট অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় সকল ইরানির প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। তিনি সকল ইরানিকে মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দৃঢ়তা দেখাতে এবং এমন ‘গণহত্যামূলক অপরাধী আগ্রাসন’ মোকাবিলায় একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্য ও সংহতির প্রয়োজন। ইরানের সমস্ত জনগণকে হাতে হাত রেখে শক্তির সঙ্গে দাঁড়াতে হবে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। যত মতবিরোধ, জটিলতা কিংবা সমস্যাই থাকুক না কেন, আজকের দিনে সেগুলো একপাশে রেখে ঐক্য ও সংহতির শক্তি নিয়ে আমাদের এই গণহত্যামূলক অপরাধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইরান কূটনীতিকে একটি সুযোগ দিয়েছে এবং আলোচনার ও সংলাপের পথ উন্মুক্ত রেখেছে।’
পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ‘শত্রু হত্যা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ইরান ও এর জনগণকে ধ্বংস করতে পারবে না। প্রতিটি লক্ষ্যভিত্তিক হামলার পর শত শত নতুন বীর সামনে আসবে, যারা পতাকা বহন করে পথ চালিয়ে যাবে।’
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছি না। তবে আমাদের অধিকার আছে—পরমাণু শক্তি ও গবেষণা থেকে এমনভাবে উপকৃত হওয়ার, যা আমাদের জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।’
পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দাদাগিরি করছে এবং আন্তর্জাতিক নিয়মের পরিপন্থীভাবে ইসরায়েলকে আমাদের দেশে আক্রমণের অনুমতি দিচ্ছে।’
গত শুক্রবার ইরানে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। এর জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়ে দেয় ইরান, যার ফলে সংঘাত দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে।
এই চলমান হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় দেশেই অনেক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।