দুর্গাপুর শ্রীধরপুরে ৮টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি
দুর্গাপুর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: ইসমাইল হোসেন(নবী)
রাজশাহীর জেলা দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ৪ নং দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের (পাঁচুবাড়ী) শ্রীধরপুর বাজারে রাতের আধাঁরে ৮ টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। গত রবিবার (২২ শে জুন) দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে। চুরি হওয়া দোকান মালিকদের দাবী ৮টি দোকানে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া দোকান গুলো হলো:- মেসার্স আব্দুল্লাহ খাদ্য ভান্ডার,মেসার্স বিসমিল্লাহ খাদ্য ভান্ডার, মেসার্স শাহিন স্টোর, মেসার্স মা বাবার দোয়া, সিনজেনটা কৃষি ঘর, মেসার্স মা-বাবার দোয়া ইলেকট্রনিক ও জাহাঙ্গীর স্টোর।
চুরির বিষয়ে বিসমিল্লাহ খাদ্য ভান্ডারের মালিক আশরাফুল আলম বলেন, আমি ফজরের নামাজ পড়ে দোকানে এসে দেখি আমার দোকানের তালা ভেঙে চাউল, তেল, আটা, ভুসি সহ আরও নানারকম সামগ্রী চুরি হয়েছে।
শাহীন স্টোরের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার দোকান মালামালে ভরপুর ছিল কিন্তু সকালে এসে দেখি আমার দোকানের মালামাল অর্ধেক এবং নগদ ক্যাসসহ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার সামগ্রী চুরি হয়েছে।
মেসার্স মা বাবার দোয়া সার ও কীটনাশক দোকানের মালিক সোহেল রানা বলেন, আমি সকাল ৫.১০ মিনিটে দোকানে এসে দেখি আমার দোকানের তালা ভাঙ্গা এবং ঝাপ খোলা, নগদ অর্থসহ দোকানের ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।
মেসার্স আবদুল্লাহ খাদ্য ভান্ডার ও মুদিখানা দোকানদার আসাদুল বলেন, আমার তিনটি দোকান রয়েছে তিনটির মধ্যে দুইটি দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরি করেছে। আমার মুদিখানার দোকানে আমি সকালে এসে দেখি তালাভাঙ্গা আমার দোকানের মালামাল নেই, নগদ অর্থসহ আমার ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার দ্রব্য সামগ্রী চুরি হয়েছে।
জাহাঙ্গীর স্টোরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল পাঁচটার সময় দোকানে এসে দেখি, তালাভাঙ্গা, দোকানের যত মালামাল আছে সব চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও নগদ অর্থসহ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
মেসার্স মা-বাবার দোয়া ইলেকট্রনিকের মালিক মিলন বলেন, সকালে দোকানে এসে দেখি দোকানের তালা ভাঙ্গা দোকানের মালামাল নেই, নগদ অর্থসহ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে আমার।
সিনজেনটার মালিক ফজলু জানান, আমার দোকান ভেঙ্গে মালামাল এবং নগদ অর্থসহ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ২০ বছর ধরে এই শ্রীধরপুর বাজারে ব্যবসা করে আসছি কিন্তু এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো। এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্রীধরপুর বাজার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা কারণ দীর্ঘদিন থেকে এই বাজারে আমি ব্যবসা করে আসছি এরকম ঘটনা আমার নজরে কখনো পড়েনি। এ সমস্ত কাজ যারা নিশায় আসক্ত হয়ে থাকে তাদের দ্বারাই সম্ভব বলে আমি মনে করি। কারণ সাধারণ মানুষের দ্বারা সম্ভব না নিরীহ মানুষের ক্ষতি করা। তবে আমি এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যারা প্রকৃত দোষী তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মিঞা এ বিষয়ে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি। তবে তাদেরকে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।